বাংলাদেশ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারে ? কত টাকা আয় করা যায় ? কেমন করে পেমেন্ট উইড্রো করবেন?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
আপনারা
অনেকে শুনে থাকবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার কথা। হইতো বা অনেকেই
জানেন না যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?এটা কেমন করে করে ?আয় আসে কেমন করে
? তাই বিশেষ করে নতুনদের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে আজ আমার
লিখাটি।সাধারনত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি অনলাইন ভিক্তিক অন্য কোন
প্রতিস্থানের পন্য প্রমোদ করে ব্যবসা করা আর তা থেকে কমিশন আয় করা
।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য মার্কেটারকে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট
বা একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকাটা আবশ্যক।
বাংলাদেশ
মার্কেটিং বলতে সাধারত আমরা জানি মার্কেটে গিয়ে কোন পণ্য কেনা ।বা কোন
বন্ধুর সাথে সুপার মার্কেট যেয়ে ঈদের নতুন জামাও জুতা কেনা। তাই না? আসলে
কিন্তু না । এথানে মার্কেটি হচেছ কোন প্রতিস্থানে যে কোন পণ্য অথবা
সার্ভিসকে প্রমোশন করা বা প্রচার করা যাতে ওই পণ্যটি অধিক পরিমানে ক্রেতা
তৈরি হয়।আমরা যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যবসা করি তখন তাকে ডিজিটাল
মার্কেটিং বলি । আর ডিজিটাল মার্কেটিং স্কীলটা কাজে লাগিয়ে যখন নিজের কোন
প্রতিস্থানের পণ্যকে প্রমোদ করি তখন তাকে ইন্টারনেট মার্কেটিং বলতে পারি ।
আর একই কাজ যখন আমরা অন্য কারো প্রতিস্থানের পণ্যকে প্রমোদ করার জন্য কাজ
করি বা প্রচার করি তাহলে তাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলি।
কারা বাংলাদেশ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবে?এটা কি আপনার জন্য?
আমি
মনে করছি আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে সর্ম্পুন নতুন একজন ব্যক্তি।
আপনি এ বিষয়ে তেমন কিছু জ্ঞান রাখেন না। আজ আমি এমন করে কিছু লিখছি। আশা
করি আপনি যদি আমার লেখাটি একটু সময় নিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনার
কাছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে আর কোন প্রশ্ন খাকবে না।আপনি যদি জানতে
চান যে, আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন কি না তাহলে আমি বলবো হ্যা
আপনি করতে পারেন যদি আমার নিচে লিখা শর্তগুলো আপনা মধ্যে থাকে । তাহলে
চলুন দেখে আসি আমাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়ার জন্য শর্তগুলো কি কি?
1. আপনার কি একটি কম্পিউটার আছে যেখানে আপনি যখন ইচ্ছে তখন কাজ করতে পারেন?
2.
আপনার কি একস্থানে অনেক সময় দরে বসে থাকতে ভালো লাগে ? কারন কাজ করার সময়
প্রথম প্রথম আপনাকে অনেক সময় এক স্থানে বসে কাজ করতে হতে পারে ।
3.
আপনার কি ইন্টারনেটে বসে কাজ করতে ভালো লাগে? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
যেহেতু ইন্টারনেট ভিক্তিক মার্কেটিং সেহেতু আপনাকে প্রায় সময় ইন্টারনেট
নিয়ে কাজ করতে হবে।
4.আপনা কি অনলাইনে ক্যারিয়া গড়ার ইচ্ছা প্রখর?
5.আপনার
কি ধৈয্য ক্ষমতা বেশি?কারন প্রথম বারে যে আপনি সফল হয়ে যাবেন তা কেউ
গ্যারান্টি দিতে পারবে না।ব্যর্থ হলে আপনাকে বার বার চেষ্টা চালিয়ে যেতে
হবে।
6. আপনার কি নিজের কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট আছে যেখানে আপনি কাজ করতে পারবেন ।
7.আপনার কি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ভালো? অনেক সময় আপনাকে কিছু বিষয়ে ইংরেজি ভাষায় লিখতে হতে পারে।
8.আপনি যদি আয় করার জন্য নয়।আপনি যদি শিক্ষার জন্য আসেন তাহলে কিছু করতে পারেন।
9.আপরি যদি আপনার বদ্ধু বাদ্ধবীদের সাথে বেশি সময় ব্যয় করেন তাহলে সময় দেয়া কমিয়ে দেন কাজে মন দিতে হবে।
10.আপনার ওয়েব সাইট ব্যহারে নুনতম জ্ঞান না থাকলে এখানে আসার দরকার নেই। আপনি ব্যর্থ হবেন।
11.
আপনার অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য ইচ্ছা থাকতে হবে । কারন
অনেক সময় আপনি আটকে যাবেন যা আপনাকে অনলাইন সহায়তা নিয়ে তা খুজে বের করে
সমাধান করে নিতে হবে।
12.আপনার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ড থাকতে হবে । আর একটি মাষ্টার কার্ড থাকলে আরো বেশি সুবিধান ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনাকে যে জিনিস গুলো জ্ঞান রাখতে হবে-
নিশ পছন্দ করা:
আমি
ধরে নিয়েছি যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য উপরে যে শর্তগুলো লিখেছি
সব গুলো আপনার মধ্যে আছে । আপরি এ মার্কেটিং করতে চান আর আমি এটাও দরে
নিয়েছি যে আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে । সব ঠিকঠাক খাকলে এখন আমাদের
কাজে হবে আমাদের নিশ পছন্দ করে নেয়া।
নিশ
বলতে আমি এখানে বুঝাতে চেয়েছি আমরা কোন পন্য বা সার্ভিস নিয়ে কাজ করবো তা
ঠিক করা।কারন আমাদের কাজ হবে যেহেতু অন্য কোন প্রতিস্থানের পণ্য বা
সার্ভিসকে প্রমোদ করা বা প্রচার করা সেহেতু আমাদের নিশ পছন্দ করা তা খুব
গুরুত্বপুর্ণ ।আপনার নিশ যত ভালো হবে তাতে আপনার লাভ তত বেশি হবে । কারন
আপনার ওয়েবসাইট হতে ভিজিট করে পণ্য ক্রয় করা ক্রেতারা ভালো পন্য জন্য বার
বার আপনার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করে ক্রয় করে আপনার স্থায়ী কাস্টোমারে পরিনত
হয়।আপনা ওয়েবসাইটে রেংকিং অনেক সময় আপনার নিশ উপর নির্ভর করে।
নিশ
কে সহজ ভাষায় বলা যায় ইন্ডাস্ট্রি । আপনি যে ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কাজ করবেন
তা আপনাকে পছন্দ করে নিতে হবে আর সে পন্য গুলো আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ
সাইটে আপলোড করে রাখতে হবে । ইন্টারনেটে আপনি আনেক নিশ খুজে পাবেন । আপনি
যদি বিউটি ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আজ করতে চান তাহলে আপনাকে বিউটি প্রোডাক্টস হতে
যে কোন একটি প্রোডাক্টস নিয়ে কাজ করতে হবে।
ভালো কমিশনের জন্য আপনি কোন নিশ বা কোথায় নিশ পছন্দ করবেন:
আমাদের
ভালো কমিশন বা নিশ পাওয়ার জন্য কিছু ওয়েইবসাট আছে যেখান হতে আপনারা একটি
অ্যাকাউন্ড করে নিশ পছন্দ করে নিতে পারব। আপনি একটু গুগল এ সার্চ করলেই
অন্তত ৬০ টি ভালো মানের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস পাবেন ।যেমন আপনি Jvzoo,
Linkshare, Clikbank, amazon এমন সাইট গুলোতে পেয়ে যাবেন । আর এসব সাইট
গুলোতে একাউন্ড ওপেন কার সহজ আর যদি কাজের শুরুতে আপনার সমস্যা হয়ে থাকেন
তাহলে কোন ব্যাপার না আপনি Youtube এ খুঁজলেই অনেক ভিডিও পাবেন।
কেমন করে আপনি বাংলাদেশ মার্কেটিং একাউন্ড বা লিংক তৈরি করবেন:
এ
মার্কেটপ্লেসে একাউন্ড করা বা লিংক করা সহজ মনে হলেও তেমনটা কিন্তু সহজ
বিষয় না ।এ ছোট একটি বিষয় শিখেনিতে অনেকে কিন্তু অনেক দিন সময় লেগে যায়।যা
আমি শিখতে পেরেছি প্রায় ৩ বছরে ।তাই প্রথম দিকে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে
আপনি এ মার্কেটগুলোতে কাজ করার জন্য আপনাকে অনেক ধৈর্য্যে প্রয়োজন আছে।
আপনাকে অনেক দিন লেগে থাকার অভাস শিখে নিতে হবে। না হলে আপনি সাফল্য মুখ
দেখতে পারবেন না।মার্কেটিং করার জন্য প্রথমে আপনাকে এমন একটি ওয়েবসাইট বা
প্রতিস্থান খুঁজে নিতে হবে যেখানে আপনা পছন্দের নিশ পেয়ে যাবেন । তার পর
সেখানে গিয়ে একটি একাউন্ড করে নিতে হবে। আর একাউন্ড করার পর আপনাকে আপনার
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং জন্য লিংক আবেদন করতে হবে । অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
জন্য লিংক আবেদনের জন্য আবার আপনাকে সেই ওয়েবসাইটে আরো কিছু তথ্য সাথে
আপনার ওয়েবসাইটের URL লিংকটা ও দিয়া হতে পারে ।আপনার আবেদনের কয়েক দিন পর
সে প্রতিস্থানের মালিক বা অথর আপনার ওয়েবসাইটে সব তথ্য যাচাই বাছাই করে
আপনাকে একটি কনফারমেশন ই-মেইল
পাঠাবে যেখানে আপনি জানতে পারবেন তারা আপনাকে এপ্রোভ করেছে না কি না করে
থাকলে এর কারন ।আপনার ওয়েবসাইট যদি অথর এপ্রোভ করে থাকে তাহলে আপনি তখন হতে
আপনাকে একটি অ্যাফিলিয়েট আইডি প্রদান করবে। যা দিয়ে আপনি আপনার পছন্দ
পন্যটি url ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটে মার্কেটিং করতে পারবেন।
কেমন করে উপার্জিত অর্থ উত্তোলন করবেন:
আমাদের
বাংলাদেশে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সর্ব শেষ ধাপ হলো উপার্জিত অর্থ
উত্তোলন করা । আমরা কয়েকটি পদ্ধতিতে উপার্জিত অর্থ উত্তোলন করতে পারি।যেমন
আমাদের লোকাল ব্যাংক একাউন্ড থাকলে এ মাধ্যমে আমরা সরাসরি আনতে পারি আর
আপনার যদি পেপাল , পেয়ানো মাষ্টার কার্ড থাকে তাহলে তা দিয়েও খুব সহজে অর্থ
উত্তোলন করতে পারেন ।যেহেতু বাংলাদেশে পেপাল আর পেয়ানো মাষ্টার কার্ড
পাওয়াটা অনেক কষ্টের । তাই আপনি দুয়েল কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।