ব্যর্থ হওয়ার কারন আর সফল্য হবার কিছু শর্ত বা কৌশল যা জানা দরকার

আমরা কেন ব্যর্থ হয় কারন আমরা নিজেদের জন্য লড়াই করতে ভয় পায় । সম্ভবত সাফল্য লাভের জন্য ব্যর্থতা কষ্টের জিনিস গুলোর মধ্যে একটি । যা সে কারো সাথে ঘটতে পারে । যখন আমরা ব্যর্থ হয় তখন আবার চেষ্টা কারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। অথবা, আমাদের স্বপ্নের প্রতিবার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে প্রেরণা অভাব অনুভব করি । 

যখন অন্যরা আমাদের ব্যর্থ বলে তখন আমরা নিজেদের উপর বিশ্বাস না রেখে তাদের কথা বিশ্বাস করতে শুরু করি। এবং আমরা নিজেদের বড় স্বপ্নের 

channel bandarban


ক্যানবাস থেকে একটু একটু করে গুটিয়ে নি। জনপ্রিয় অভিনেতা শারুখ খান বলেছেন সাফল্য এবং ব্যর্থতা উভয় জীবনের অংশ কিন্তু কোনোটাই স্থায়ী নয় । ব্যর্থতা দুই ধরনে হয়ে থাকেন যখন পৃথিবী সবাই মনে করেন যে আপনি একজন ব্যর্থ মানুষ কিন্তু আসলে তা আপনি নন । আপনি সবার একটু আলাদা ।

 অন্যটি হলো আপনি যদি নিজেই মরে করেন আপনি ব্যর্থ তাহলে মনে করবেন যে আপনি সত্যি একজন ব্যর্থ মানুষ । কারনব আপনি নিজের সর্ম্পকে  অন্যের মতামত মেনে নিচ্ছেন । আরো একটি কারন হচ্ছে আপনি অলস।আমরা রেসিপি শেখার জন্য কষ্ট না করে মজার মিষ্টি আর মসরিণ কেক বানাতে চাই। আমরা ছবি আকার জন্য যথেষ্ট শ্রম ও মেধা না খাটিয়ে ও পিকাসুর মত ছবি আকতে চাই । 

আর তা যখন পারি না তখন হাল ছেড়ে দিয়ে বলি আমি সম্পূর্ণ একজন ব্যর্থ মানুষ । জে, কে রাওলিং বলেছেন : কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থ হওয়ার ছাড়া জীবন অসম্ভব , যদি না আপনি খুব সাবধানে জীবনযাপন করেন। বা কখনো চেষ্টাই না করে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনি নিজেই দোষের ব্যর্থ।
জ্যাক মা , স্টীফজব, বিল গেস্ট তারা পৃথিবী সব চেয়ে সফল্য মানুষদের তালিকায় আছেন । আমরা তাদের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে পারি । আর তাদের থেকে অনুপ্রেরনা পেতে পারি । তারা সবাই প্রথম অবস্থায় খুব বাজে ভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন । 

এ সকল অনু্প্রেরনায় দুটি জিনিস লক্ষ্য করা যায় তারা কখনো থেমে থাকেননি । আর তারা কখনো নিজের যোগ্যতাকে সন্দেহ করেননি।
তারা সফল্য না হওয়ার পযন্ত চেষ্টা চালিয়ে গেছেন । কারন তারা জানতেন তাদের কাছে পৃথিবীকে দেয়ার মত ভিন্ন আর চমৎকার কিছু আছে। কারন তারা কখনো ব্যর্থ ছিলেন না । কারন তারা নিজেদের প্রতিবা আর আবেগ জন্য সব কিছু ত্যাগ করে ছিলেন । তারা চরম ব্যর্থ হতেন যদি তারা আবার চেষ্টা না করতেন । 

আপনি কি জানেন বাস্কেট বল থেকে বাদ পরার পর মাইকেল জর্দানের মা তাকে কি বলতেন , বলতেন এখন তুমি একটি কাজই করতে পারো তা হলো আরো অনেক বেশি চর্চা করা এবং তাদের এটা বিশ্বাস করাও যে তারা তোমাকে বাদ ‍দিয়ে ভূল করেছে।
কিছু সফল্য মানুষদের জীবনের বড় বড় ব্যর্থতা কিছু কাহিনী তুলে ধরছি।
ডিজনি বলেছেন , যখন আপনার বয়স অল্প তখন ব্যর্থতা থাকা ভালো । কারন এটা আপনাকে অনেক কিছু শেখায় এবং আপনি একবার খারাপ কিছুর মুখোমুখি হলে পরে কখনো থেমে থাকবেন না । আমরা সবাই জানি যে , ওয়াল্ড ডিজিনিকে একটি নিউশ পেপার হতে বের করে দেয়া হয়ে ছিল । কারন তার চিন্তা বাভনা ছিল সাধারন।


 এবং এতে কোন প্রকার মৌলিকতা ছিলনা । এর পর তিনি একটি ছোট কোম্পানী শুরু করেন  তা দেউলিয়া হয়ে যাই।
তার তৈরি প্রথম কার্টুন চরিত্র ছিল মিকিমাউস। কিন্তু তা প্রথম বারে সিলেক্ট করা হইনি। প্রথমে কিছু স্টোডিও তা প্রত্যাখান করেছিলেন। তারা মনে করতো তা বড় ইদুরটি মহিলাদের আর বাচ্চাদের ভয় পাইয়ে দিতে পারে । অথচ পরে তা প্রচার করা হলো পোরো ধারনাটি বদলে যায়। ওয়াল্ড ডিজিনি ছিল তার সফল্য কার্টুন স্টোডিও । 

তার প্রথম সফল্য এনিম্যাশন মুভি ছিল snow white and the seven duarts. থেকে যে পরিমান অর্থ  আসে সে অর্থ দিয়ে তিনি ওয়াল্ড ডিজিনি স্টোডিও গড়ে তুলেন। তিনি তার স্টোডিও ওয়াল্ড ডিজিনি থেকে আমাদের Toy Story, Robinsons , Ciaderella নামক অনেক মুভি উপহার দিয়েছেন। আপনার ডিকশনারী থেকে অজুহাত শব্দটি মুছে ফেলুন । দারিদ্রতা বা সাহায্য কোন অজুহাত হতে পারে না। মহান লোকেরা সেলফ মেড হই। 

তারা অপেক্ষা না করে সুযোগকে কাজে লাগায় তারা অপেক্ষা না করে সুযোগকে কাজে লাগায় তারা কোন অলোকিক ঘটনা ঘটার অপেক্ষায় বসে থাকে না ।তারা তাদের জীবন খুব চমৎকার ভাবে কাটিয়ে দেয়।
জেকেরাওলিং বলেছেন , আমি যখন কাজ করা শুরু করেছিলাম আমার সাথে একটি পুরোনো টাইপরাইটার আর আমার বড় একটি আইডিয়া ছিল। জেকেরাওলিং যখন ছোট ছিলেন তখন সে তার বোনের সাথে চার্জ পরিস্কার করতেন । তার বাবা তাদের রেখে চলে গিয়েছিলেন । আর তারপর অসুখের কারনে তার মা মারা যান ।

 তিনি Oxford University তে আবেদন করেছিলেন । কিন্তু এডমিশন পাননি। খুব অল্প বয়সে তার বিয়ে হয় এবং তার স্বামীর স্বাথে ডিভোসের পর তিনি তার সন্তান নিয়ে সর্ম্পূন একা হয়ে পরেন । তিনি হত্যাশায় ভোগতে থাকেন । তার এ হত্যাশায় তিনি তৈরি করেন তিমেস টাইম , তিনি তর হেরিপটার নিয়ে ১২জন পাবলিশারের কাছে যান ।সবাই না করে দেয়ার পর ও তিনি বার বার চেষ্টা করেত থাকেন।তিনি যদি ১৩ তম ব্যাক্তির পাবলিশারের কাছে না যেতেন তাহলে আমরা হারাতাম তার মত এত বড় একজন লেখককে ।

একাডেমি রেজাল কখনো আপনার লক্ষ্য হতে পারে না।কিন্তু আপনার লক্ষ্য হতে পারে জ্ঞান অর্জন করা । আর ঠিক সময়ে কাজে আসে। যদি আপনি এমন একজন হয়ে থাকেন বার বার প্রত্যাখান ফলে ক্লান্ত হয়ে পরেছেন আর সব ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছেন তাহলে আজকে লেখাটি মাধ্যমে আমি আপনাকে জানাতে চাইযে আপনি যতখন  পযর্ন্ত নিজেকে ব্যর্থ মনে করবেন না ততখন পযর্ন্ত কিন্তু আপনি ব্যর্থ নন। আর যদি আপনি নিজেকে নিজে ব্যর্থ মনে করবেন তখন মনে করবেন আপরি সত্যি একজন ব্যর্থ মানুষ। আপনি যদি মনে করেন যে , এ পৃথিবীকে দেয়ার মত আপনা র ভিতরে কিছু আছে তাহলে কারো কথা শুনবেন না। আপনার লক্ষ্যে বার বার চেষ্টা চালিয়ে যান আপনি সফল্য হবেন ।





Post a Comment

[blogger]

যোগাযোগ ফর্ম

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget