July 2020

যারা ব্লগিং ক্যারিয়ারে প্রথম বা যাদের তেমন কোন বাজেট নেই তারা সহজে ব্লগার ডট কমে ফ্রিতে ব্লগ তৈরি করে ক্যারিয়া শুরু করে দিতে পারেন ।
ব্লগার ডট কমে ফ্রিতে ব্লগ তৈরি করার পর আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ন সেটিং করে নিতে হবে । আপনার ব্লগে পোষ্ট লিখে শেয়ার করার আগে আপনাকে ব্লগে কিছু সেটিং ঠিক করে নিতে হবে যেমন – কমেন্ট করা অংশ , ক্যাটাগরি অংশ, ছবি যুক্ত করা , পোষ্ট শিরোনাম, পারমালিং সেটিং করা, মেটাটেগ ব্যবহার , আরো অনেক কিছু যা আপনার পোষ্টকে অধিক জনপ্রিয় করতে সহায়তা করবে।
ব্লগ সেটিং করার জন্য প্রথমে আপনাকে বাম পাশে সেটিং অংশে গিয়ে  বেসিক সেটিং যেতে হবে তার পর সেখানে যাবতীয় সব সেটিং করে নিতে হবে।
blog site setup



সাধারন বা বেসিক সেটিং :

সাধারন বা বেসিক সেটিং গিয়ে প্রথমে আপনি পাবেন সাইটের টাইটেল বা সাইটে নাম দেয়া অপশন । যেখানে আপনি আপনার সাইটের নামে দিতে পারবেন । আপনি টাইটেল অপশনে যে নাম লিখবেন তা সাইটে নাম হিসেবে প্রদর্শন হবে।
টাইটেল অপশন পরে আপনি পাচ্ছেন সাইটের বর্ণনা অংশ । যেখানে আপনি আপনার সাইটে মূল সার্মম লিখে রাখতে পারেন । যাতে এ বর্ণনাটি পড়ে আপনার সাইটে কাজকর্ম নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত ধারনা পাওয়া যায়।

এর নিচে অংশটি হচ্ছে প্রাইাবেশি বা গোপনীয়তা :

এখানে আছে সার্চ ইনঞ্জিন হতে ব্লগটি প্রদর্শন করা হবে কি না ।এমন একটি অপশন যেখানে হ্যাঁ বা না অপশন থাকে ।
এর পরে অংশে থাকে ব্লগ সাইট ঠিকানা বা ইউআর এল । যেখানে আপনি কাস্টম ডোমেইন যুক্ত করে দিতে পারেন ।
এর নিচে আছে সিকিউরিটি জন্য এইচটিটিপিএস  অপশন । যেখানে আপনি আপনার ইউআরএল লিংকে সিকিউরিটি জন্য এইচটিটিপিএস যুক্ত করে দিতে পারেন ।

পোষ্ট কমেইট ও শেয়ার :

পোষ্ট কমেইন্ট ও শেয়ার  অংশে কোন পেজে কত পরিমান পোষ্ট প্রর্দশ করা হবে বা পোষ্টে কারা কারা কমেইন্ট করতে পারবে তা আমরা সেটিং করে দেয়া যাবে।

ইমেইল : 

ইমেইল অপশনে গিয়ে আপনার ইমেইলটি যুক্ত করে রাখা যাবে ।

ভাষা অংশ: 

ভাষা অংশটি অন্যান্য অংশের মত একটি গুরুত্ব পূর্ণ অংশ । কারন আপনি সাইটটি কোন ভাষায় পরিচালনা বা কোন ভাষায় পোষ্ট করবেন তা এখানে ঠিক করে দিতে হবে । আর একটি বিষয় হলো আপনি যদি আপনার সাইটি গুগুল এডসেন্স বিজ্ঞাপন সাথে যুক্ত করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই গুগুল এডসেন্স সাপোট করা ভাষাটি পছন্দ করে নিতে হবে ।না হলে আপনি কোন প্রকারে এডসেন্স এপ্রোভাল পাবেন না।
blog earning tips


সার্চ পার্ফমেনশ : 

এ অংশে আপনি মেটা ট্যাগ বর্ননা দিতে পারেন । এটি আপনার সাইটকে যখন সার্চ ইনঞ্জিনে দেখাবে তখন বর্ননা গুলোকে দেখাবে। যা গুগুলে র‌্যাংক করতে সাহা্য্য  করে থাকে।

Crawlers and indexing

অংশে Google Search Console গিয়ে সাইটি ইনডেক্স করে নিতে হতে ।যদি আপনি Google Search Console গিয়ে সাইটে ইউআর এল সাবমিট না করেন তাহলে আপনার সাইটি গুগুলে দেখাবে না।
আপনাকে অবশ্যই সাই মেপ জেনারেট করে দিতে হবে । সাইটমেপ জেনারেট না করলে আপনার কোন পোষ্ট গুগুল তার সার্চ ইঞ্জিনের দেখাবে না।

Other setting:

এই অংশে গিয়ে আপনি পাবেন Import & back up অপশন ।যেখান হতে আপনি চাইলে আপনার সাইটপি বেক আপ নিয়ে রাখতে পারেন আর আপনি যদি চান তাহলে বেক আপ নেয়া অংশটি এখানে ইনপুট করে দিতে পারেন । আপনার সাইটি যদি কোন কারনে পরিবর্তন করার প্রায়োজন হয় তবে আপনি এ অংশ গুলো ব্যবহার করে তা করতে পারেন । 


এর পরে অংশ হলো ব্লগ ডিলেট করা অপশন । Delete Blog অংশে ‍গিয়ে যদি কখনো আপনার ব্লগটি ডিলেট করার প্রায়োজন হয়ে তবে তা করতে পারেন । Delete Blog অংশে গিয়ে Remove your blog অপশনটি ক্লিক করলে আপনার ব্লগটি একেবারে ডিলেট হয়ে যাবে।

এর পরে পাবেন Google Analytics অংশ যেখানে আপনি সাইটে যাবতীয় তথ্য পযবেক্ষন করতে পারবেন ।



ফ্রিতে প্রফেসনাল মানে ব্লগ :
 
আপনি যদি ব্লগিং জগতে নতুন হন বা  আপনার যদি পেড ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট কিনার মত টাকা না থাকে তাহলে আপনার জন্য আমি ফ্রিতে প্রফেশনাল মানে ব্লগ সাইট বানানোর জন্য ২ টি সাইটের কথা বলবো ১.ওয়ারপ্রেস সাইট ২. ব্লগার ডট কম সাইট এখানে আপনি যে কোন একটাতে গিয়ে ফ্রিতে প্রফেশনাল মানে ওয়েব পেজ তৈরি করে নিতে পারবেন। ফ্রি সাইট তৈরি করে আপনারা ব্লগিং ক্যারিয়া শুরু করে দিতে পারেন ।এখানে আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে ব্লগার ডট কমে গিয়ে সাইট তৈরি করে আপনার ক্যারিয়া শুরু করতে বলবো কারন ব্লগার ডট কম সাইটি গুগুলে একটি পন্য বা প্রতিষ্টান আর সাইট তৈরি করাও খুব সহজ । যে কেউ সাইটিতে গিয়ে তাদের ব্লগ সাইটটি ডিজাইন করে নিতে পারে । আর এর পরিচালনা করাও সহজ ।

কেমন করে ফ্রিতে ব্লগারে ব্লগ সাইট তৈরি করবেন:

ব্লগারে ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে Blogger.com সাইটে গিয়ে গুগুল একাউন্ড ইমেল আর পাসওয়ার্ড দিয়ে  প্রবেশ করতে হবে এর পর উপরে বাম পাশে New blog ক্লিক করে ডোমেন বা সাইটে নাম দিয়ে একটি সাইট বানিয়ে নিতে হবে। 

Add caption

তার পর আপনাকে পছন্দ মতো ওয়েব পেজে টেমপ্লেট সেট করে নিতে হবে। 


কাসটোমাইস:

ব্লগ সাইটে কাসটোমাইস করা সহজ কাজ । আপনি যদি প্রথম হয়ে থাকেন তাহলে সেটিং জন্য ইউটোব সাহায্য নিতে পারেন। আপনি ইউটোবে গিয়ে শুধু লিখবেন How to customize bogger site. তাহলে আপনি বিভিন্ন ভাষায় এ বিষয়ে ভিডিও পেয়ে যাবেন । আপনি সময় নিয়ে যদি ১০-১৫মিনিট ভিডিও গুলো দেখেন তাহলে আপরি নিজে নিজে সহজে সব সেটিং ঠিক করে নিতে পারবেন । 




পোষ্ট করা: 

এর পর আপনি পোষ্ট অপশনে গিয়ে ক্লিক করলে পোষ্ট করার জন্য খালি জায়গা পাবেন। সেখানে টাইটেল ঘরে পোষ্ট বা লিখা শিরনাম ও বর্ণনা ঘরে বর্ণনা লিখে ছবি দিয়ে তার পর লেবেল যুক্ত করে প্রকাশ করতে পারেন।


ট্যাক : 

আপনার লেখা বা পোষ্টকে গুগুলে আনার জন্য আপনাকে পোষ্ট সাথে ট্যাক ব্যবহার করা উচিত । যাতে আপনার লেখাটি অনুরুপ কেউ ‍যদি গুগুলে সার্চ করে খুজে তাহলে আপনার লেখাটি যেন গুগুল দেখায় ।

ছবি:

আপনার লেখা বা পোষ্টটি সাথে অবশ্যই ছবি যুক্ত করা উচিত । কারন আপনার ছবি আপনার লেখাকে গুগুলে কাছে তারাতারি দেখাতে খুব বেশি ভুমিকা পালন করে থাকে।

গুগুল কনসোলে সাইট সাপমিট:

আপনার সাইট যখন সম্পূর্ণ ব্যবহার উপযোগী হবে তখন সাইটটিকে গুগুল কনসোলে যুক্ত করে দিতে হবে ।সাইটি যখন সাইটমেপ যুক্ত হবে তখন গুগুল আপনার সাইটটি ইন্টারনেটে প্রকাশে ব্যবস্থা করবে এর আগে নই।

ব্লগিং :
 
আমরা অনলাইনে দেখি বা লক্ষ্য করি ব্লগিং করে অনেকে তাদের ক্যারিয়া গড়ছে। কিন্তু আমরা অনেকে জানিনা ব্লগিং কি? ব্লগিং খায় না পড়ে। যারা ব্লগিং বিষয়ে নতুন আজ লেখাটি তাদের জ্ন্য ।ব্লগিং বলতে আমরা সাধারনত বুঝায় কোন বিষয় বা নিস নিয়ে কোন ওয়েব সাইট বা ব্লগ সাইটে লেখালেখি করাকে বুঝি। একজন মানুষের অনেক বিষয়ে জ্ঞান বা ধারনা থাকতে পারে । কিন্তু সামান্য জ্ঞান বা ধারনা নিয়ে ব্লগিং করা যায় না যদি বিষয়টি নিয়ে আপনার বিস্তর বা গভীর ধারনা না থাকে তাহলে আপনি ভালো করে সাজিয়ে লিখতে পারবেন না । হয়তো বা আপনি বিষয়টি নিয়ে কয়েক পেজ বা পাতা লিখতে পারবেন কিন্তু এর পর আর কোন বিষয় খুজে পাবেন না বা মাজ পথে আটকে যেতে পারেন । তাই যে বিষয়ে ব্লগিং করবে সে বিষয় বা নিস নিয়ে আপনার বিস্তর ধারনা থাকে ।তাহলে আপনি লিখে শেষ করতে পারবেন না আর আপনার লেখা পড়েও মানুষ তৃপ্তি পাবে আর মানুষে কাছে লেখাগুলো উপকারে আসবে।



ব্লগার কে বা কারা :

ব্লগিং আর ব্লগার শব্দ ‍দুটি দেখতে বা শুনতে একই মনে হলেও এদের মধ্যে অর্থ এক নই। যারা ব্লগিং করে বা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বিস্তর জ্ঞান নিয়ে কোন ব্লগ সাইট বা ওয়েব পেজে নিয়মিত লেখালেখি করে তাদের আমরা ব্লগার বলে থাকি।
আমরা গুগুল সার্চ করলে দেখি লক্ষ লক্ষ ব্লগ সাইট বিভিন্ন বিষয়ে লেখা । যেগুলো আমাদের জ্ঞানের ভান্ডারকে আরো অনেক বেশি প্রসারিত করেছে। আজকাল আমরা কোন কিছু শেখার জন্য কোন শিক্ষক বা গুরুর জ্ন্য বসে থাকি না । আমাদের মাথায় কোন প্রশ্ন উদ্ভব হলে আমরা ইন্টারনেটে গিয়ে গুগুলের কাছে লিখে সার্চ করি বা জিজ্ঞেস করি । তাতে সংঙ্গে সংঙ্গে আমরা তার সঠিক উত্তরটি পেয়ে ‍যায়। এর উত্তরের পেছনে পৃথিবীর জোড়ে লক্ষ লক্ষ ব্লগারদের অবদান রয়েছে।

ব্লগিং করে কি আয় করা যায়?

হ্যা , ব্লগিং করে আয় করা যায় । তবে আপনাকে কোন বিষয়ে বিস্তর জ্ঞান নিয়ে পেশাদার ব্লগার হতে হবে । আপনি যদি একজন প্রফেসনাল ব্লগার হতে পারেন তাহলে এ ব্লগিং এন্ডাস্ট্রিতে আপনার ক্যারিয়া গড়তে পাড়েন । ব্লগিং একটি এন্ডাস্ট্রি এখানে আপনি শত থেকে হাজার আর লক্ষ ডলার আয় করতে পারেন। ব্লগিং এন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার আগে আপনাকে প্রথমে একটি সঠিক পরিকল্পনা করে নিতে হবে । আর যে বিষয়ে ব্লগিং করবেন সে বিষয়ে বিস্তর জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
ব্লগিং করে কেমন করে আয় করবেন?

ব্লগিং করে আপনি কয়েক পদ্ধতিতে আয় করতে পারেন । যেমন –১. গুগুল এডসেন্স মাধ্যমে
,২. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ৩. ফ্রিলেন্সার সাইট গুলোটে কাজ করে ৪. নিজের পন্য বা সেবা প্রচার করে।

গুগুল এডসেন্স মাধ্যমে আয় :

ব্লগিং করে আপনি সেখানে গুগুল এডসেন্স বিজ্ঞাপন ‍যুক্ত করে আয় করে নিতে পারেন । আপনার ব্লগ বা লেখা যদি ভালো হয় বা ইউনিট হয় তবে আপনি আপনার ব্লগ সাইটে গুগুল এডসেন্স বিজ্ঞাপন জন্য আবেদন করতে পারেন ।আপনার আবেদন করার পর ৩-৭ দিনের মধ্যে তারা আপনার সাইটে ভিজিট করে দেখবে আর সব ঠিক থাকলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য অনুমতি দিয়ে দিবে। তখন আপনি আপনার  সাইটে গুগুল বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করতে পারবেন ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়:

ব্লগিং করে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।যারা নতুন তারা হয়তো বা বুঝবেন না যে এফিলিয়েট আবার কি জিনিস ? আমি সময় নিয়ে পরে এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে একটি পোস্ট দিব। আজ এখানে করে বলছি।এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যা অন্য কোন প্রতিস্থান বান ব্যক্তির সেবা বা পন্যকে অধিক পরিমানে বিক্রয় জন্য আপনার ওয়েব পেজ বা ব্লগে প্রচার করা বা তার সেবা বা পন্য লিং শেয়ার করা । যেখান হতে সে সেবা বা পন্যটি বিক্রয়ের পরিমান উপর একটি অংশ আপনাকে বা ব্লগারকে দিয়ে থাকেন।বিশ্বে হাজার হাজার ব্লগার এফিলিয়েট মার্কেটিং করে হাজার হাজার ডলার আয় করছে।

ফ্রিলেন্সার সাইট গুলোটে কাজ করে:

আপনি যদি একজন ভালো মানে প্রফেশনার ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কোন ফ্রিলেন্সার সাইটে কাজ করে বা সেখানের বায়ারদের চাহিদা অনুসারে তাদের চহিত বিষয়ে লেখালেখি করে ডলার আয় করতে পারেন । অনেক সময় দক্ষতা দেখে বায়ার তাদের প্রজেক্ট জন্য ১ থেকে ৬ মাসের জন্য উচ্চ মূ্ল্যে হায়ার করে থাকে ।

নিজের পন্য বা সেবা প্রচার করে আয় করা :

আপনি যদি ভালো লেখালেখি করেন আর যদি আপনার কোন প্রতিস্থান বা পন্য থেকে থাকে  তাহলে আপনি নিজের পন্য বা প্রতিস্থানের জন্য লেখালিখি করার মাধ্যমে তা প্রমোট করে নিতে পারেন । যা আপনা পন্য বা সেবা অতি অল্প সময়ের মধ্যে হাজার হাজার মানুয়ের কাছে পরিচিতি লাভ করবে আর আপনার পন্য বিক্রির পরিমানও বৃদ্ধি পেয়ে যাবে । আপনি অর্থনীতি ভাবে লাভবান হবেন।

যোগাযোগ ফর্ম

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget